রানা আহম্মেদ অভি- ঝিনাইদহ থেকে
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা - কর্মচারীরা জাতীয় এই মহাদুর্যোগে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রধান মন্ত্রীর আহব্বানে সাড়া দিয়ে তারা তাদের একদিনের বেতন-ভাতা বাবদ (৫৯৭০৭/=) ঊনষাট হাজার সাত শত সাত টাকা তাঁর ত্রাণ তহবিলে সহায়তা হিসেবে দিয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান বলেছেন-
পৃথিবীতে মানবসভ্যতা বিলুপ্তিকারী এমন মহামারি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে। মানুষই এই বিপর্যয়ের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয় বারংবার। পৃথিবীর সব যুদ্ধেই মানুষ প্রাণ হারায়। পিতামাতা হারায় স্নেহের সন্তান। সন্তান হারায় ঈশ্বরতুল্য পিতামাতা। স্বামী হারায় তার প্রিয়তমা স্ত্রী। স্ত্রী হারায় তার সুখ-দুঃখের সাথীকে। স্বজন হারায় তার প্রিয়জন। শিশু হারায় তার ভবিষ্যৎ। সুন্দর জীবন। দেশ হারায় মহাসম্পদ। জাতি হারায় সভ্যতা, সংস্কৃতি। কান্নার জলে হয় বঙ্গোপসাগর। হাহাকার, আত্মচিৎকারে সুনীলআকাশ হয় বিবর্ণ। তবুও মানুষ বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে। জয়ীহয়। আবার উঠে দাঁড়ায়। সকল দুঃখ ভুলে মানবসভ্যতাকে আবার বিকশিত করে। দেখে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন। আমরাও আছি যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় সকলের পাশে। একসাথে।
এদিকে বিপন্ন মানবতার পাশে দাড়োনোর জন্য কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান (শাহীন),সহকারী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান,শহিদুল ইসলাম, আশরাফুল করিম, রবিউল ইসলাম,প্রবীর সাহা সহ সকল শিক্ষক কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জননেতা আব্দুল হাই এমপি,জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ,কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক সাংসদ মোঃ দবির উদ্দিন জোয়ার্দ্দার,কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্জ মোঃ ওসমান গণি, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামীম আহম্মেদ খাঁন প্রমূখ।